মোঃ মিজানুর রহমান
কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জমির দাতা গ্রহীতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় জেলার নিকলী উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার সাদিয়া নওরীন খন্ডকালীন দায়িত্ব পালনকালীন গত ২৭ এপ্রিল সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লিখক ফুরকান উদ্দিন খান মানিকের সাথে দলিল রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি সদর দলিল লিখক সমিতির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয় এবং যথারীতি দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম চলে। কিন্তু গত ২৮ এপ্রিল থেকে একই সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে এসে সকালে সকল দলিল লিখকদেরকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেয় দলিল লিখক ফুলকান উদ্দিন মানিকের বিচার না করলে কোন দলিল রেজিস্ট্রি করা হবে না। গতকাল বুধবার (২৯ এপ্রিল) হোসেনপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ নাজমুল ইসলাম খন্ডকালীন দায়িত্ব পালন করতে এসে একইভাবে সকল দলিল লিখকদেরকে জানিয়ে দেয় আজকেও কোন দলিল রেজিস্ট্রি হবে না।
ফলে গত ২ দিনে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে। অপরদিকে জমির ক্রেতা বিক্রেতারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সদর দলিল লিখক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, দলিল লিখক ফুরকান উদ্দিন খান মানিকের বিষয়টি ঐদিনই আমরা আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সাব-রেজিস্ট্রারগণ গত ২ দিন যাবত দলিল রেজিস্ট্রি করা থেকে বিরত রয়েছেন।
খন্ডকালীন সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ নাজমুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি দলিল রেজিস্ট্রি থেকে বিরত থাকি নাই বরঞ্চ দলিল লিখকরাই কোন দলিল এজলাসে জমা দেয়নি।
Leave a Reply