মোঃ আল আমিন, জেলা প্রতিনিধি (গাইবান্ধা)
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ৩ আসনের এমপি মাননীয় উম্মে কুলসুম স্মৃতির
নাম ভাঙিয়ে ১১ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পালাতক।
মামলার সূত্র ধরে জানা যায়,১/ মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে বিল্পব (৫২), ২/মোঃ মাহাম্মুদ হাসান প্রান্ত (৪৮) উভয়ের পিতা মৃত মকবুল হোসেন, ৩/ মোঃ জালাল হোসেন (২৪), ৪/ বিজয় (২২) উভয়ের পিতা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
সর্বসাং জামালপুর থানা পলাশবাড়ী জেলা গাইবান্ধা। এক দল ভুক্ত প্রতারণা কারী কুচক্রী প্রতারক কূচক্ররা সুনামধন্য ব্যাক্তিদের পরিচয় দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষ কে ধোকা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় হইতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
মামলার সূত্র ধরে জানা যায়, মোঃ আনারুল ইসলাম (৪৪) পিতা মোঃ হাফিজ উদ্দিন, সাং- পীরগছা থানা জেলা গাইবান্ধা। উক্ত প্রতারক চক্ররা মোঃ আনারুল ইসলাম কে ভুল বুঝিয়ে সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাননীয় উম্মে কুলসুম স্মৃতির প্রতারক চক্ররা মামাতো ভাই পরিচয় দিয়ে মোঃ আনারুল ইসলাম সভাপতি নিযুক্ত করিয়া ১১সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন। মোঃ আনারুল ইসলাম একজন গ্রামের সহজ সরল মানুষ হওয়ায় প্রতারক চক্ররা মোঃ আনারুল ইসলাম কে জানান যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহ প্রকল্পের দুই টি করে পাকা রুম তৈরি করে দিবেন বলে প্রতারক চক্র জানান এবং সরকারি ফান্ডে ১১ লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে বলে সহজ সরল আনারুল কে জানান। অন্ধবিশ্বাসের গ্রামের সহজ সরল ১৬ জন ব্যক্তি প্রতারক চক্রের ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা জমা প্রদান করেন । নিকট হইতে প্রায় উক্ত ১১ লক্ষ টাকা নেওয়ার পরে প্রতারক চক্ররা উধাও হয়ে যায় এবং মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রতারক চক্রের সন্ধান না পাওয়ায় মোঃ আনারুল ইসলাম উল্লেখিত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা বিজ্ঞ পলাশবাড়ী আমলী আদালতে পর পর দুই টি মামলা দায়ের করেন।
যাহার মামলা নং সি/আরনং২৮৮/২০২২(পলাশ বাড়ী )ও সি/আর মামলা নং ২৮৯/২০২২ ( পলাশবাড়ী) উল্লেখিত মামলা দুটি দায়ের হওয়া পর বিজ্ঞ আদালত পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) উপর তদন্ত ভার প্রদান করেন। তদন্ত অনুসন্ধান কালে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ৪২০/৪০৬/৫০৬/৩৪ ধারা প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়। বিজ্ঞ আদালত উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হইয়া প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। বিজ্ঞ আদালতে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সমন জারি করা সত্বেও আদালতে উপস্থিত হননি। বিজ্ঞ আদালত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্দ হইয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত প্রতারক চক্ররা বিজ্ঞ আদালতে হাজির হননি। অভিযুক্তরা প্রকাশ্য চলাফেরা করিলেও পুলিশ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করতেছেন স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। ভুক্তভোগী মোঃ আনারুল ইসলাম এখন মানবতার জীবন যাপন পালন করছেন ও স্থানীয় লোকজন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করিতেছেন ।
Leave a Reply